ঢাকা,শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪

চকরিয়া-পেকুয়া আসনে জামানত হারালেন ৫ প্রার্থী

নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া :: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা ৭ প্রার্থীর মধ্যে পাঁচজন বাতিল ভোটের চেয়ে কম ভোট পেয়ে জামানত হারাচ্ছেন। তাঁরা জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, ইসলামী ফ্রন্ট ও দুজন স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন।

নিয়মানুযায়ী মোট প্রাপ্ত ভোটের ৮ ভাগের ১ ভাগ ভোট যদি না পান, সে ক্ষেত্রে প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। কিন্তু কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য ছাড়া বাকি পাঁচজন প্রার্থীর মোট প্রাপ্ত ভোট বাতিল ভোটের কাছাকাছিই যেতে পারেনি।

গতকাল রবিবার (৭ জানুয়ারি) ভোট গণনা শেষে কক্সবাজার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এ আসনে মোট সাতজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মনোনীত প্রার্থী ও দলটির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম হাত ঘড়ি প্রতীক নিয়ে ৮১ হাজার ৯৫৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য স্বতন্ত্র প্রার্থী জাফর আলম ৫২ হাজার ৮৯৬ ভোট পেয়েছেন। বাকি পাঁচজন প্রার্থী মোট পেয়েছেন ২ হাজার ৪২৫ ভোট।

ভোটের ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, কক্সবাজার-১ সংসদীয় আসনের মোট ভোটার রয়েছে ৪ লাখ ৮৬ হাজার ২৫২ জন। গতকাল অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ভোটারের বিপরীতে বৈধ ভোট পড়েছে ১ লাখ ৩৭ হাজার ২৭৬টি। মোট ভোটারের ২৮.৯২ শতাংশ ভোট পড়েছে। ৩ হাজার ৩৩৭টি ভোট বাতিল করা হয়। বৈধ ভোটের ৮ ভাগের ১ ভাগ হলো ১৭ হাজার ১৫৯ দশমিক ৫০ অর্থাৎ ১৭ হাজার ১৬০ ভোট। সাতজন প্রার্থীর মধ্যে পাঁচজন প্রার্থী বাতিল ভোটের কাছাকাছি যেতে পারেননি।

ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী হোসনে আরা পেয়েছেন ৭৭৩ ভোট, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির আবু মোহাম্মদ বশিরুল আলম পান ৫৩৭ ভোট, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মুহাম্মদ বেলাল উদ্দীন পেয়েছেন ৬৯১ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য জাফর আলমের ছেলে তানভীর আহমদ সিদ্দিকী তুহিন ২৪৪ ভোট পেয়েছেন ও কমর উদ্দীন ১৮০ ভোট পান। বিধি অনুযায়ী এই পাঁচ প্রার্থী জামানত হারাচ্ছেন।

চকরিয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইরফান উদ্দিন বলেন, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার আগে প্রত্যেক প্রার্থীকে ২৫ হাজার টাকা জামানত জমা দিতে হয়। বিধিমতো মোট বৈধ ভোটের ৮ ভাগের ১ ভাগের কম ভোট পেলে প্রার্থীর জামানতের টাকা বাজেয়াপ্ত হয়।

পাঠকের মতামত: